ভ্যাটিকান থেকে শুরু বাইডেনের ইউরোপ সফর
গ্লাসগোতে জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে শুক্রবার সকালে ইতালির রোম পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেখান থেকে তিনি ভ্যাটিকান সিটিতে সফর করবেন এবং পোপের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। খবর ডয়চে ভেলের।
ভ্যাটিকানে পোপের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠক করবেন বাইডেন। রোববার তার স্কটল্যান্ড পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এবারের সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি বিশ্বের গণতন্ত্র নিয়েও অন্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার কথা বাইডেনের।
ভ্যাটিকানে বাইডেন: জো বাইডেন হলেন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ক্যাথলিক প্রেসিডেন্ট। তিনি ধর্মভীরুও বটে। ফলে ভ্যাটিকান থেকে তার সফর শুরু করার অন্য গুরুত্ব আছে। ভ্যাটিকানে পোপের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা তার।
শুক্র এবং শনিবারের মধ্যে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করার কথা বাইডেনের। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হওয়ার কথা।
অস্ট্রেলিয়াকে সাবমেরিন বিক্রি নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক সাম্প্রতিককালে বিতর্কিত করেছে। ফ্রান্সের সঙ্গে সাবমেরিন বিক্রির চুক্তি চূড়ান্ত করার পর অস্ট্রেলিয়া তা ভেস্তে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের সঙ্গে হাত মেলায়, যা নিয়ে চটেছিলেন ম্যাক্রোঁ।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া ভাষায় সমালোচনাও করেছিল ফ্রান্স। তারপর এই প্রথম বাইডেন-ম্যাক্রোঁ বৈঠকে বসছেন। সেখানে বিষয়টি নিয়ে একটি রফাসূত্র বের হবে বলেই কূটনীতিকদের ধারণা।
গ্লাসগোর জলবায়ু সম্মেলন: রোববার গ্লাসগো পৌঁছানোর কথা বাইডেনের। সেখানে জলবায়ু বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মতামত জানানোর জন্য একটি বড় টিম পৌঁছাবে বলে বাইডেনের অফিস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে। জলবায়ু সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অন্য দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র চাপ দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই শতাব্দীতে উষ্ণতা বৃদ্ধির পরিমাণ দুই ডিগ্রির নীচে আনা কীভাবে সম্ভব, তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হতে পারে। পাশাপাশি গণতন্ত্র নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব রাখতে পারেন বাইডেন।
হোয়াইট হাউস সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, বাইডেন মনে করেন গোটা বিশ্বে গণতন্ত্র বিপদের মুখে এসে পড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় গণতান্ত্রিক সরকার ভেঙে পড়ছে। এ পরিস্থিতিতে কেন গণতন্ত্র রক্ষা করা প্রয়োজন, তা নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি। বাইডেন মনে করেন, এই মুহূর্তে গণতন্ত্রই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা।
তুরস্কের সঙ্গে বৈঠক: জলবায়ু সম্মেলনের মধ্যেই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে বাইডেনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হতে পারে বলে জানা গেছে। এই বৈঠকটির দিকেও তাকিয়ে আছে কূটনীতিকরা। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের একাধিক দেশের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে একাধিক বিষয়ে বিতর্ক চলছে তুরস্কের।